Wednesday, December 12, 2018

শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা, ওষুধ না খেয়ে সারবে কীভাবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে অনেক সময় ভিটামিন ডি কমে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ফুলে যায়। বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায় 
শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা,

ঘাড় ঘোরাতে পারছেন না? কোমরে টান? গাঁটে গাঁটে ব্যথা? শীতে ঘাড়, কোমর, পা, সবই অকেজো? কী করবেন? কোন ওষুধেই বা সারবে রোগ? শীত পড়তেই কোমর ও ঘাড়ের দফারফা। ঘাড় থেকে ব্যথা আস্তে আস্তে কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে থাকে। অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব। দুর্বল হতে থাকে বাহু, হাত ও আঙুল। ঘাড়ের স্টিফনেস বাড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে অনেক সময় ভিটামিন ডি কমে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ফুলে যায়। বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। নিঃশ্বাসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ অক্সিজেন শরীরে যায়। সহজেই ক্লান্তি আসে। শুধু ব্যথাই নয়, মাংসপেশির স্টিফনেসের সমস্যাও হয়।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্ট শক্ত হয়ে থাকে। যাঁরা ভারী কাজ করেন বা সারাদিন বসে কাজ করেন এবং যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি। শীতে হাত ও পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ফলে, জয়েন্টে ব্যথা, ধীরে ধীরে জয়েন্ট ও মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন জয়েন্টের চারপাশের ত্বক খুব বেশি ঠান্ডা হলে স্নায়ুপ্রান্তগুলোর সংবেদনশীলতা বেশি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা মলম লাগানো ঠিক হবে না। পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে। সর্দি-কাশি যেন না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।