Sunday, August 26, 2018

উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন যা হওয়া উচিৎ

আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের স্বাস্থ সচেতন হওয়া উচিৎ। আর এই জন্যই নিজের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন আদর্শ অনুপাতে আছে কিনা তা জানা জরুরী। আদর্শ অনুপাত নির্ণয়ের এই পদ্ধতিকে বলা হয় বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স। আদর্শ অনুপাতের নিচে বা উপরে উভয়ই আমাদের জন্য ক্ষতিকর।


বিএমআই নির্ণয়ের সূত্রঃ
বিএমআই = ওজন ÷ উচ্চতা এর বর্গ  (এখানে ওজন ‘কেজি’ এবং উচ্চতা ‘মিটারে’ হিসাব করতে হবে।)
যেমন, একজন পুরুষের ওজন ৭৮ কেজি এবং তার উচ্চতা ১.৭ মিটার হলে
বিএমআই = ৭৮ ÷ ২.৮৯(১.৭ এর বর্গ)= ২৬.৯৮, যা কিছুটা মোটা
আমরা এখন বিএমআই এর আদর্শ মানগুলো জেনে নিই।
বিএমআই ১৮.৫ এর নিচে হলে ওজন স্বল্পতা। অর্থাৎ আপনার আদর্শ স্বাস্থ নয়।
বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯৯-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক যা আমাদের সবার কাম্য।
বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৯৯-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা একটু মোট। এটাও খুব একটা খারাপ না তবে স্বাভাবিকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
বিএমআই ৩০ থেকে ৩৪.৯৯-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা, এমন স্বাস্থ কারোর কাম্য নয়।
আর বিএমআই ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।
জেনে নিন আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন কত?
উচ্চতা(F/I)——    পুরুষ(Kg) —- নারী(Kg)
৪’৭”————-৩৯-৪৯ —–———৩৬-৪৬
৪’৮”————-৪১-৫০ —–———৩৮-৪৮
৪’৯”————-৪২-৫২ —–——– ৩৯–৫০
৪’১০”————৪৪-৫৪ ———–– ৪১–৫২
৪’১১” ———–৪৫-৫৬ ——-—– ৪২-৫৩
৫’০০”———–৪৭-৫৮ —–——– ৪৩-৫৫
৫’১” ————৪৮-৬০ ———– ৪৫-৫৭
৫’২” ———- ৫০-৬২ —–——– ৪৬-৫৯
৫’৩”———– ৫১-৬৪ ———–– ৪৮-৬১
৫’৪”———– ৫৩-৬৬ —–——– ৪৯-৬৩
৫’৫” ———–৫৫-৬৮ —–——- ৫১-৬৫
৫’৬” ———- ৫৬-৭০ —–——- ৫৩-৬৭
৫’৭” ———- ৫৮-৭২ —–——– ৫৪-৬৯
৫’৮”———– ৬০-৭৪ —–———৫৬-৭১
৫’৯” ———- ৬২-৭৬ ————–৫৭-৭১
৫’১০” ——— ৬৪-৭৯ —–———৫৯-৭৫
৫’১১”———- ৬৫-৮১ ————–৬১-৭৭
৬’০০”——— ৬৭-৮৩ ———–৬৩-৮০
৬’১”———– ৬৯-৮৬ ———-– ৬৫-৮২
৬’২”———- ৭১-৮৮ —–——– ৬৭-৮৪

Monday, August 20, 2018

চোখের কোণে র কালি

চোখের কোণে র কালি, অনেকেরই চোখের ঘুম মাটি করে দেয়। আমাদের অনেকে এজন্য  অনেক রকম আই ক্রীম ব্যবহার করেন, অনেকেই নানা হারবাল প্রসাধনী বা ঘরে তৈরি টোটকা। তবে   চোখের কোণের কালি এবং   ডার্ক সার্কেল রিমুভ করার  সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন উপায় রয়েছে।
চোখের কোণের কালি দূর করার এরকম ৬টি কার্যকরী যে উপায় রয়েছে তার সব ক’টির উৎসই কিন্তু গোলাপ জল, আবহমান  কাল ধরে যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের রাজপ্রাসাদের অন্দরমহলে রূপচর্চার এক অপরিহার্য  উপকরণ হিসেবে যা ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।  

১. সবচেয়ে সহজ উপায়ে গোলাপ জলে তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিটে শুকিয়ে গিয়ে চোখের কোলের কালিও দূর করবে, ত্বক ময়শ্চারাইজও করবে।
২. একটা শশা খোসা ছাড়িয়ে কুরিয়ে নিয়ে ১ চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। অথবা গোলাপ জলের মধ্যে দু’স্লাইস শশা ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এই মিশ্রণ ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন। 
৩. আলুর খোসা ছাড়িয়ে ডুমো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে ১ চামচ গোলাপ জল মেশান। এই মিশ্রণে তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. এক কাপ কড়া গ্রিন টি-র সঙ্গে ১ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে শুয়ে থাকুন ১৫ মিনিট। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাকি মিশ্রণ ফ্রিজে রাখুন।
৫. গোলাপ জলে দুটো টি ব্যাগ ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। জল থেকে তুলে ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে শুয়ে থাকুন। ডার্ক সার্কল দূর করার পাশাপাশি টোনার হিসেবেও কাজ করবে টি ব্যাগ।  
৬. ১ চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে আধ চা চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। তুলোর বল ভিজিয়ে দু’চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।