Thursday, November 29, 2018

কোনটা পারফেক্ট ডিনারে,ভাত না রুটি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ধের পর কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে হাই সুগার, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে তো নয়ই। ঘুমনোর আগে কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে গ্রোথ হরমোন এবং টেস্টোস্টেরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে
কেউ বলবেন ভাত। কেউ বলবেন রুটি। এ দ্বন্দ্ব ছিল, আছে, থাকবেও। ভেতো বলে বাঙালির একটা বদনাম আছে। তাই ডিনারেও তাঁদের পছন্দ গরম গরম ভাত। কিন্তু যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা ডিনারের মেনু বদলে নিচ্ছেন। ভাতের বদলে রুটিতেই ভরসা।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ভাত-রুটি কোনওটাই নয়। খেলেও খুব কম। কারণ, দুশমন কার্বোহাইড্রেট।
ভাত না রুটি?

রাতে বেশি ভাত কেন নয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ধের পর কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে হাই সুগার, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে তো নয়ই। ঘুমনোর আগে কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে গ্রোথ হরমোন এবং টেস্টোস্টেরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাতে খুব বেশি ভাত খেলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটির মতো ক্রনিক রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। ভাতে ফাইবারও কম। ফলে, হজমক্ষমতাও কম।

রাতে বেশি রুটিও নয় কেন?
আটা বা ময়দা, যে কোনও ধরনের রুটিতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে। এক টুকরো রটিতে ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক পুষ্টির মাত্র ৪৫ থেকে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে নেওয়া উচিত।

Tuesday, November 27, 2018

পেটে ব্যথার কারণ অ্যাপেনডিসাইটিস কী করে বুঝবেন?

বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গ থাকে। যাকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। আমাদের দেহে এই অঙ্গের কোনও কাজ নেই। তবে বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এই অঙ্গটি প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। সময় মতো অস্ত্রোপচার করা না গেলে, বা সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণে মৃত্যুও হতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়।
অ্যাপেনডিসাইটিস

অ্যাপেনডিসাইটিস কেন এবং কী ভাবে হয়?
কোনও কারণে অ্যাপেন্ডিক্সে খাদ্য বা ময়লা ঢুকে গেলে সেখানে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এবং সেখানে নানা জীবাণুর আক্রমণে সংক্রমণ ছড়িতে পড়ে। ফলে অ্যাপেনডিক্সে ব্যথা হতে শুরু করে।

উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:
১) পেটে ব্যথা হয়। সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকের নিচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
২) বমি বমি ভাব,
৩) বমি হওয়া,
৪) ক্ষুধামন্দা,
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া,
৬) জ্বর থাকতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় না।
৭) অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে সাংঘাতিক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।

Sunday, November 25, 2018

রোজ মাত্র একটা করে কলা খেতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান

কলার পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রোজ একটা করে কলা খেতে পারলে পেতে পারেন নিরোগ শরীর। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। মাত্র একটা করে কলা। তাতেই শরীরের অনেক সমস্যা সেরে উঠতে পারে। কলার উপকারী দিকগুলো নিয়ে আর আগেও বহু চর্চা হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগা রোগীদের কাছে কলা মহাষৌধির মতো কাজ করে। এছাড়া হজমশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কলার জুড়ি মেলা ভার। কলার কিন্তু আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-
আরও পড়ুন-  আপনার কি হাত-পায়ের তালু ঘামায়? এটা কি অসুখ? জেনে নিন...
মানসিক স্বাস্থ্য: মস্তিষ্কে সেরোটোনিন-এর ঘাটতি হলে সাধারণত হতাশার জন্ম হয়। কলা এই সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ কলায় থাকে ট্রিপ্টোফান। কলা উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রেও ফলদায়ক।
রোজ মাত্র একটা করে কলা
ওজন নিয়ন্ত্রণ: সকালে একটা করে কলা ভীষণ উপকারী। এতে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরি পেতে পারেন।
মস্তিষ্কের জন্য: পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ফল কলা। নিয়মিত কলা খেলে মস্তিষ্কে শক্তি সরবরাহ অব্যহত থাকে। ফলে যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়ে।
হাড় শক্ত করে কলা: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে কলা উপকারী ফল।

এবার সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, রোজ ঠিক ক'টা করে কলা খাওয়া ভাল। এক্ষেত্রে চিকিত্সকরা বলছেন, শরীরে যাবতীয় উপাদানের ঘাটতি মেটাতে একটা করে কলা রোজ যথেষ্ট। তবে কলা হালকা খাবার। সেক্ষেত্রে দুটো খেলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে রাতের দিকে কলা খেলে অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীর চর্চার আগে বা পরে কলা খেতে পারলে ভাল। এতে এনার্জি বাড়ে। তা হলে আর দেরি কেন! আজ থেকেই ডায়েট চার্টে রাখুন একটা করে কলা।

Monday, November 19, 2018

ঘুমোনোর আগের ৯টি টিপ্‌স


ঘুমোনোর আগের ৯টি টিপ্‌স

ঘুমোনোর আগে যদি নিজের জন্য একটু সময় দাও, তা হলেই দেখবে সকালে উঠে কেমন ফ্রেশ লাগছে। কী-কী করতে হবে? রইল ৯টি টিপ্‌স।
সারাদিন কলেজ, লেখাপড়া, টিউশনের চাপ সামলে রাতে ঘুমটা নিশ্চয়ই ভালই পায়? এদিকে সকালে উঠেও অনেক সময়ই মনে হয় তো যে শরীরটা ঠিক ফ্রেশ লাগছে না? জানো কী, তুমি যখন ঘুমোচ্ছ, তখনই কিন্তু তোমার শরীর নিজেকে রিপেয়ার করার সমস্ত কাজটাই করে নেয়। তাই ঘুমোনোর আগে যদি নিজের জন্য একটু সময় দাও, তা হলেই দেখবে সকালে উঠে কেমন ফ্রেশ লাগছে। আর সেই ফ্রেশ ভাবটা থেকে যাবে সারাদিনই। কী-কী করতে হবে? রইল ৯টি টিপ্‌স।

১. চোখের নীচে কালি পড়া নিয়ে অনেকেই মনে হয় খুব চিন্তায় আছ? লেখাপড়া হোক বা সিনেমা দেখা, রাত জাগাটা তো প্রায় রোজকার ব্যাপার হয়ে গিয়েছে! এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি-রিংকল সিরাম বা নাইট ক্রিম দারুণ কাজ দিতে পারে। এইগুলো চোখের নীচে মাস্কের মতো লাগিয়ে রাখো। সারা রাত এই ক্রিম বা সিরাম তোমার চোখের যত্ন নেবে এবং কালি দূর করবে।

২. পা ফাটার সমস্যাটা তোমাদের কারও-কারও এই বয়সেই শুরু হয়ে যায়। রাতে ঘুমনোর আগে পায়ের একটু যত্ন নিলে সকাল নাগাদ অবস্থার উন্নতি হবে। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়শ্চারাইজ়ার পায়ে মেখে পাতলা সুতির মোজা পড়ে ঘুমিয়ে পড়ো। সকালে দেখবে দারুণ মসৃণ পা।

৩. ঘুমোনোর সময় চুল ভেঙে যাওয়া একটা ব়ড় সমস্যা। এর সমাধান করতে পারে বালিশের কভার। এমন কভার ব্যবহার করো যাতে চুল পিছলে যায়। এতে বালিশে চুল আটকে যাবে না এবং মাথা এদিক-ওদিক করলে ভেঙেও যাবে না।

৪. ফাটা, শুকনো ঠোঁট দে‌খতে কী খারাপ লাগে বলো তো! তাই ঠোঁটকে পুষ্ট এবং সজীব রাখতে রাতে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে ঘুমাও। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে ঠোঁট দেখতে পাবে, বাইরে বেরনোর আগে তার আর বাড়তি যত্নের প্রয়োজনই পড়বে না।

৫. নখ এবং নখের আশপাশের ত্বকে হালকা নারকেল তেল মেখে নাও। ঘুমোনোর আগে এটা করলে নখ হবে ঝকঝকে এবং হেলদি।

৬. চোখের পাতা বড় করার কিছু সিরাম পাওয়া যায়। এগুলো রাতে ঘুমোনোর আগে ব্যবহার করতে পার। তা ছাড়া বাড়িতে ক্যাস্টর অয়েল থাকলে তাও লাগিয়ে নিতে পার। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ দুটো আরও আকর্ষক দেখাবে।

৭. রুক্ষ পা দুটোকে মসৃণ করার টিপস পেয়েছ। একই কাজ দুটো হাতের জন্যও করতে পারে। ব্রাউন সুগার এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করে স্ক্রাব বানিয়ে নাও। এগুলো দুই হাতে মেখে নাও। ধুয়ে নিয়ে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। সকাল দেখবে মসৃণ এবং সুন্দর দুটো হাত রাতের চেয়ে অনেক ভাল দেখাচ্ছে।

৮. রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই মুখে ক্রিম ব্যবহার করো? এটি করার আগে মুখে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল লাগিয়ে নাও। এরপর ক্রিম ব্যবহার করো। এর ফলাফল সকালেই বুঝতে পারবে।

৯. তোমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটা তা ভাল করেই জানি! পরের দিন কোথাও যাওয়ার থাকলেই ঠিক আগের রাতে মুখে হাজির হবে একটা পিম্পল! তবে ঘুমোনোর আগে মুখে যদি কোনও পিম্পল দেখে থাকো, তাকে বাগে আনতে পারবে কিন্তু এক রাতের মধ্যেই। এর উপর সামান্য দাঁত মাজার পেস্ট লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। মনে রাখবে, জেল নয় কিন্তু, পেস্ট লাগাবে।