Wednesday, December 12, 2018

শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা, ওষুধ না খেয়ে সারবে কীভাবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে অনেক সময় ভিটামিন ডি কমে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ফুলে যায়। বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায় 
শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা,

ঘাড় ঘোরাতে পারছেন না? কোমরে টান? গাঁটে গাঁটে ব্যথা? শীতে ঘাড়, কোমর, পা, সবই অকেজো? কী করবেন? কোন ওষুধেই বা সারবে রোগ? শীত পড়তেই কোমর ও ঘাড়ের দফারফা। ঘাড় থেকে ব্যথা আস্তে আস্তে কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে থাকে। অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব। দুর্বল হতে থাকে বাহু, হাত ও আঙুল। ঘাড়ের স্টিফনেস বাড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে অনেক সময় ভিটামিন ডি কমে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ফুলে যায়। বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। নিঃশ্বাসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ অক্সিজেন শরীরে যায়। সহজেই ক্লান্তি আসে। শুধু ব্যথাই নয়, মাংসপেশির স্টিফনেসের সমস্যাও হয়।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্ট শক্ত হয়ে থাকে। যাঁরা ভারী কাজ করেন বা সারাদিন বসে কাজ করেন এবং যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি। শীতে হাত ও পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ফলে, জয়েন্টে ব্যথা, ধীরে ধীরে জয়েন্ট ও মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন জয়েন্টের চারপাশের ত্বক খুব বেশি ঠান্ডা হলে স্নায়ুপ্রান্তগুলোর সংবেদনশীলতা বেশি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা মলম লাগানো ঠিক হবে না। পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে। সর্দি-কাশি যেন না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Thursday, November 29, 2018

কোনটা পারফেক্ট ডিনারে,ভাত না রুটি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ধের পর কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে হাই সুগার, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে তো নয়ই। ঘুমনোর আগে কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে গ্রোথ হরমোন এবং টেস্টোস্টেরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে
কেউ বলবেন ভাত। কেউ বলবেন রুটি। এ দ্বন্দ্ব ছিল, আছে, থাকবেও। ভেতো বলে বাঙালির একটা বদনাম আছে। তাই ডিনারেও তাঁদের পছন্দ গরম গরম ভাত। কিন্তু যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা ডিনারের মেনু বদলে নিচ্ছেন। ভাতের বদলে রুটিতেই ভরসা।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ভাত-রুটি কোনওটাই নয়। খেলেও খুব কম। কারণ, দুশমন কার্বোহাইড্রেট।
ভাত না রুটি?

রাতে বেশি ভাত কেন নয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ধের পর কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে হাই সুগার, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে তো নয়ই। ঘুমনোর আগে কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে গ্রোথ হরমোন এবং টেস্টোস্টেরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাতে খুব বেশি ভাত খেলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটির মতো ক্রনিক রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। ভাতে ফাইবারও কম। ফলে, হজমক্ষমতাও কম।

রাতে বেশি রুটিও নয় কেন?
আটা বা ময়দা, যে কোনও ধরনের রুটিতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে। এক টুকরো রটিতে ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক পুষ্টির মাত্র ৪৫ থেকে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে নেওয়া উচিত।

Tuesday, November 27, 2018

পেটে ব্যথার কারণ অ্যাপেনডিসাইটিস কী করে বুঝবেন?

বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গ থাকে। যাকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। আমাদের দেহে এই অঙ্গের কোনও কাজ নেই। তবে বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এই অঙ্গটি প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। সময় মতো অস্ত্রোপচার করা না গেলে, বা সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণে মৃত্যুও হতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়।
অ্যাপেনডিসাইটিস

অ্যাপেনডিসাইটিস কেন এবং কী ভাবে হয়?
কোনও কারণে অ্যাপেন্ডিক্সে খাদ্য বা ময়লা ঢুকে গেলে সেখানে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এবং সেখানে নানা জীবাণুর আক্রমণে সংক্রমণ ছড়িতে পড়ে। ফলে অ্যাপেনডিক্সে ব্যথা হতে শুরু করে।

উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:
১) পেটে ব্যথা হয়। সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকের নিচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
২) বমি বমি ভাব,
৩) বমি হওয়া,
৪) ক্ষুধামন্দা,
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া,
৬) জ্বর থাকতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় না।
৭) অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে সাংঘাতিক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।

Sunday, November 25, 2018

রোজ মাত্র একটা করে কলা খেতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান

কলার পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রোজ একটা করে কলা খেতে পারলে পেতে পারেন নিরোগ শরীর। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। মাত্র একটা করে কলা। তাতেই শরীরের অনেক সমস্যা সেরে উঠতে পারে। কলার উপকারী দিকগুলো নিয়ে আর আগেও বহু চর্চা হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগা রোগীদের কাছে কলা মহাষৌধির মতো কাজ করে। এছাড়া হজমশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কলার জুড়ি মেলা ভার। কলার কিন্তু আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-
আরও পড়ুন-  আপনার কি হাত-পায়ের তালু ঘামায়? এটা কি অসুখ? জেনে নিন...
মানসিক স্বাস্থ্য: মস্তিষ্কে সেরোটোনিন-এর ঘাটতি হলে সাধারণত হতাশার জন্ম হয়। কলা এই সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ কলায় থাকে ট্রিপ্টোফান। কলা উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রেও ফলদায়ক।
রোজ মাত্র একটা করে কলা
ওজন নিয়ন্ত্রণ: সকালে একটা করে কলা ভীষণ উপকারী। এতে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরি পেতে পারেন।
মস্তিষ্কের জন্য: পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ফল কলা। নিয়মিত কলা খেলে মস্তিষ্কে শক্তি সরবরাহ অব্যহত থাকে। ফলে যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়ে।
হাড় শক্ত করে কলা: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে কলা উপকারী ফল।

এবার সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, রোজ ঠিক ক'টা করে কলা খাওয়া ভাল। এক্ষেত্রে চিকিত্সকরা বলছেন, শরীরে যাবতীয় উপাদানের ঘাটতি মেটাতে একটা করে কলা রোজ যথেষ্ট। তবে কলা হালকা খাবার। সেক্ষেত্রে দুটো খেলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে রাতের দিকে কলা খেলে অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীর চর্চার আগে বা পরে কলা খেতে পারলে ভাল। এতে এনার্জি বাড়ে। তা হলে আর দেরি কেন! আজ থেকেই ডায়েট চার্টে রাখুন একটা করে কলা।

Monday, November 19, 2018

ঘুমোনোর আগের ৯টি টিপ্‌স


ঘুমোনোর আগের ৯টি টিপ্‌স

ঘুমোনোর আগে যদি নিজের জন্য একটু সময় দাও, তা হলেই দেখবে সকালে উঠে কেমন ফ্রেশ লাগছে। কী-কী করতে হবে? রইল ৯টি টিপ্‌স।
সারাদিন কলেজ, লেখাপড়া, টিউশনের চাপ সামলে রাতে ঘুমটা নিশ্চয়ই ভালই পায়? এদিকে সকালে উঠেও অনেক সময়ই মনে হয় তো যে শরীরটা ঠিক ফ্রেশ লাগছে না? জানো কী, তুমি যখন ঘুমোচ্ছ, তখনই কিন্তু তোমার শরীর নিজেকে রিপেয়ার করার সমস্ত কাজটাই করে নেয়। তাই ঘুমোনোর আগে যদি নিজের জন্য একটু সময় দাও, তা হলেই দেখবে সকালে উঠে কেমন ফ্রেশ লাগছে। আর সেই ফ্রেশ ভাবটা থেকে যাবে সারাদিনই। কী-কী করতে হবে? রইল ৯টি টিপ্‌স।

১. চোখের নীচে কালি পড়া নিয়ে অনেকেই মনে হয় খুব চিন্তায় আছ? লেখাপড়া হোক বা সিনেমা দেখা, রাত জাগাটা তো প্রায় রোজকার ব্যাপার হয়ে গিয়েছে! এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি-রিংকল সিরাম বা নাইট ক্রিম দারুণ কাজ দিতে পারে। এইগুলো চোখের নীচে মাস্কের মতো লাগিয়ে রাখো। সারা রাত এই ক্রিম বা সিরাম তোমার চোখের যত্ন নেবে এবং কালি দূর করবে।

২. পা ফাটার সমস্যাটা তোমাদের কারও-কারও এই বয়সেই শুরু হয়ে যায়। রাতে ঘুমনোর আগে পায়ের একটু যত্ন নিলে সকাল নাগাদ অবস্থার উন্নতি হবে। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়শ্চারাইজ়ার পায়ে মেখে পাতলা সুতির মোজা পড়ে ঘুমিয়ে পড়ো। সকালে দেখবে দারুণ মসৃণ পা।

৩. ঘুমোনোর সময় চুল ভেঙে যাওয়া একটা ব়ড় সমস্যা। এর সমাধান করতে পারে বালিশের কভার। এমন কভার ব্যবহার করো যাতে চুল পিছলে যায়। এতে বালিশে চুল আটকে যাবে না এবং মাথা এদিক-ওদিক করলে ভেঙেও যাবে না।

৪. ফাটা, শুকনো ঠোঁট দে‌খতে কী খারাপ লাগে বলো তো! তাই ঠোঁটকে পুষ্ট এবং সজীব রাখতে রাতে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে ঘুমাও। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে ঠোঁট দেখতে পাবে, বাইরে বেরনোর আগে তার আর বাড়তি যত্নের প্রয়োজনই পড়বে না।

৫. নখ এবং নখের আশপাশের ত্বকে হালকা নারকেল তেল মেখে নাও। ঘুমোনোর আগে এটা করলে নখ হবে ঝকঝকে এবং হেলদি।

৬. চোখের পাতা বড় করার কিছু সিরাম পাওয়া যায়। এগুলো রাতে ঘুমোনোর আগে ব্যবহার করতে পার। তা ছাড়া বাড়িতে ক্যাস্টর অয়েল থাকলে তাও লাগিয়ে নিতে পার। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ দুটো আরও আকর্ষক দেখাবে।

৭. রুক্ষ পা দুটোকে মসৃণ করার টিপস পেয়েছ। একই কাজ দুটো হাতের জন্যও করতে পারে। ব্রাউন সুগার এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করে স্ক্রাব বানিয়ে নাও। এগুলো দুই হাতে মেখে নাও। ধুয়ে নিয়ে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। সকাল দেখবে মসৃণ এবং সুন্দর দুটো হাত রাতের চেয়ে অনেক ভাল দেখাচ্ছে।

৮. রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই মুখে ক্রিম ব্যবহার করো? এটি করার আগে মুখে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল লাগিয়ে নাও। এরপর ক্রিম ব্যবহার করো। এর ফলাফল সকালেই বুঝতে পারবে।

৯. তোমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটা তা ভাল করেই জানি! পরের দিন কোথাও যাওয়ার থাকলেই ঠিক আগের রাতে মুখে হাজির হবে একটা পিম্পল! তবে ঘুমোনোর আগে মুখে যদি কোনও পিম্পল দেখে থাকো, তাকে বাগে আনতে পারবে কিন্তু এক রাতের মধ্যেই। এর উপর সামান্য দাঁত মাজার পেস্ট লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। মনে রাখবে, জেল নয় কিন্তু, পেস্ট লাগাবে।

Wednesday, September 12, 2018

স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন


আধুনিক জীবনে বড় একটি সমস্যা স্থূলতা। ডায়াবেটিসের মতো স্থূলতা বহু রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরা ওজন কমানোর দৌঁড়-ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু এ কাজটি করা দুষ্কর। তবে এমন অনেক মানুষই আছেন যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়েও কম। ওজন আসলে ভারসাম্যপূর্ণ থাকা দরকার। কমও নয়, বেশিও নয়। জানলে অবাক হবেন, ওজন বাড়ানোও কিন্তু কঠিন কাজ। যারা সুস্বাস্থ্যের জন্যে ওজন বাড়াতে চাইছেন, তারা বুঝতে পারছেন কতটা দুরূহ কাজ করে যাচ্ছেন।
আসলে পাতলা দেহের অধিকারীদের পাকস্থলী ছোট আকারের হয়। তাদের পক্ষে ক্ষুধা বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ক্ষুধা থাকলেও যথেষ্ট খাবার খেয়েও তারা স্বাস্থ্য বাড়াতে পারেন না। বরং অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমা পড়তে থাকে দেহে। এ অবস্থা আরো বেশি মারাত্মক। সাধারণত এ ফ্যাট কেবল পেটেই জমে। ভুঁড়ি বাড়ে, সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্য বাড়ে না।
এখানে জেনে নিন স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর উপায়ের কথা। এগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং গবেষণার ফল।
স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন


. ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পান নানা কারণে। আসলে বুঝতে হবে আপনার দেহের মতিগতি। কেন আপনি চিকন, সে সমস্যা আগে চিহ্নিত করতে পারলে ভালো। যে ওজন থাকা দরকার তা কেন হচ্ছে না, তাও আগেভাগে জেনে নিতে হবে। এ কাজটি করতে পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলুন। মূল সমস্যা শনাক্ত করা জরুরি।

. যারা চিকন তাদের ক্ষেত্রে ভাবা হয়, এই দেহে কোনো খাবারই কোনো কাজে লাগে না। তাই যা পাওয়া যায় তাই বেশি বেশি খেতে হবে। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির দিকে যেতে হবে। এতে করে প্রক্রিয়াটা স্বাস্থ্যকর হবে এবং তা থেকে যাবে। সাধারণ হিসেবটা হলো, প্রতিদিন ৫০০ কিলোক্যালরি খাবার খেলে সপ্তাহে ওজন আধা কেজি বাড়বে। অবশ্য তা নির্ভর করে আপনার দেহ খাবারের সঙ্গে কেমন আচরণ করলো তার ওপর।

৩. ওজন বাড়াতে কিন্তু ব্যায়ামও করতে হবে। যদি ভাবেন কেবল খাবার এ কাজটি করবে তবে ভুল করছেন। ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহের পেশিগঠন প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। নিজেও বুঝতে পারবেন দেহের কোন পেশিগুলো দুর্বল। পরে সেই পেশির ব্যায়াম করতে হবে। সুগঠিত পেশি স্বাস্থ্যকর দেহ গড়ে তোলে।

৪. ওজন তুলতে হবে। রোগা দেহ ধীরে ধীরে সুগঠিত হতে থাকবে। আপনার দেহ যে পরিমাণ ভার বাইতে সক্ষম, তার চেয়ে বেশি ওজন বহন করতে পারবে। দেহের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। আর এ কাজে ওজন তোলা সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়াম। ওজন বৃদ্ধির জন্যে আপনার স্কোয়াট, ডেডলিফট, প্রেস, পুল-আপ, রো, ডিপ, স্ন্যাচ, ক্লিন এবং জার্ক দিতে হবে।

৫. স্বাস্থ্যকের খাবার তো লাগবেই। অনেকে দোকান থেকে ফুড সাপ্লিমেন্ট কিনে থাকেন। এগুলো স্বাস্থ্য বৃদ্ধির কথা দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এর অনেকগুলোই সিনথেটিক পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে আপাতত স্বাস্থ্য বাড়বে, স্থায়ীভাবে নয়। তাই পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবারই বেছে নিতে হবে। প্রতিটা খাদ্য উপাদান পরিমাণমতো খেতে হবে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ আপনাকে সহায়তা করতে পারেন।

৬. স্বাস্থ্যকর হৃৎপিণ্ড গঠন ও ওজন বৃদ্ধির খাবার খেতে হবে। অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্যে যেকোনো খাবার বেশি বেশি খেয়ে ভুলটা করে থাকেন। এতে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন খাবার খাওয়া যাবে না যা ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যোগ করতে হবে। অর্থাৎ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শুকনো ফল ইত্যাদি খাওয়া ভালো। সবজি ও মাংস খেতে হবে পরিমাণমতো। তবে একটু বেশি প্রোটিন খেতে হবে। তাও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন।

৭. কখনোই বলা হয় না যে, খাবার বেশি খাবেন। বেশি খেলে যে ওজন বাড়বে তা নয়। বরং পরিমাণমতো খেতে বলেন সবাই। জাঙ্কফুড পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে বুঝহতে হবে কোন খাবারে কোন উপাদানটি রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ করা যাবে না। আবার সব স্বাস্থ্যকর খাবারও বেশি বেশি খাওয়া উচিত নয়। বুঝেশুনে খাবেন, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন।

Sunday, August 26, 2018

উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন যা হওয়া উচিৎ

আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের স্বাস্থ সচেতন হওয়া উচিৎ। আর এই জন্যই নিজের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন আদর্শ অনুপাতে আছে কিনা তা জানা জরুরী। আদর্শ অনুপাত নির্ণয়ের এই পদ্ধতিকে বলা হয় বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স। আদর্শ অনুপাতের নিচে বা উপরে উভয়ই আমাদের জন্য ক্ষতিকর।


বিএমআই নির্ণয়ের সূত্রঃ
বিএমআই = ওজন ÷ উচ্চতা এর বর্গ  (এখানে ওজন ‘কেজি’ এবং উচ্চতা ‘মিটারে’ হিসাব করতে হবে।)
যেমন, একজন পুরুষের ওজন ৭৮ কেজি এবং তার উচ্চতা ১.৭ মিটার হলে
বিএমআই = ৭৮ ÷ ২.৮৯(১.৭ এর বর্গ)= ২৬.৯৮, যা কিছুটা মোটা
আমরা এখন বিএমআই এর আদর্শ মানগুলো জেনে নিই।
বিএমআই ১৮.৫ এর নিচে হলে ওজন স্বল্পতা। অর্থাৎ আপনার আদর্শ স্বাস্থ নয়।
বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯৯-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক যা আমাদের সবার কাম্য।
বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৯৯-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা একটু মোট। এটাও খুব একটা খারাপ না তবে স্বাভাবিকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
বিএমআই ৩০ থেকে ৩৪.৯৯-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা, এমন স্বাস্থ কারোর কাম্য নয়।
আর বিএমআই ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।
জেনে নিন আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন কত?
উচ্চতা(F/I)——    পুরুষ(Kg) —- নারী(Kg)
৪’৭”————-৩৯-৪৯ —–———৩৬-৪৬
৪’৮”————-৪১-৫০ —–———৩৮-৪৮
৪’৯”————-৪২-৫২ —–——– ৩৯–৫০
৪’১০”————৪৪-৫৪ ———–– ৪১–৫২
৪’১১” ———–৪৫-৫৬ ——-—– ৪২-৫৩
৫’০০”———–৪৭-৫৮ —–——– ৪৩-৫৫
৫’১” ————৪৮-৬০ ———– ৪৫-৫৭
৫’২” ———- ৫০-৬২ —–——– ৪৬-৫৯
৫’৩”———– ৫১-৬৪ ———–– ৪৮-৬১
৫’৪”———– ৫৩-৬৬ —–——– ৪৯-৬৩
৫’৫” ———–৫৫-৬৮ —–——- ৫১-৬৫
৫’৬” ———- ৫৬-৭০ —–——- ৫৩-৬৭
৫’৭” ———- ৫৮-৭২ —–——– ৫৪-৬৯
৫’৮”———– ৬০-৭৪ —–———৫৬-৭১
৫’৯” ———- ৬২-৭৬ ————–৫৭-৭১
৫’১০” ——— ৬৪-৭৯ —–———৫৯-৭৫
৫’১১”———- ৬৫-৮১ ————–৬১-৭৭
৬’০০”——— ৬৭-৮৩ ———–৬৩-৮০
৬’১”———– ৬৯-৮৬ ———-– ৬৫-৮২
৬’২”———- ৭১-৮৮ —–——– ৬৭-৮৪

Monday, August 20, 2018

চোখের কোণে র কালি

চোখের কোণে র কালি, অনেকেরই চোখের ঘুম মাটি করে দেয়। আমাদের অনেকে এজন্য  অনেক রকম আই ক্রীম ব্যবহার করেন, অনেকেই নানা হারবাল প্রসাধনী বা ঘরে তৈরি টোটকা। তবে   চোখের কোণের কালি এবং   ডার্ক সার্কেল রিমুভ করার  সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন উপায় রয়েছে।
চোখের কোণের কালি দূর করার এরকম ৬টি কার্যকরী যে উপায় রয়েছে তার সব ক’টির উৎসই কিন্তু গোলাপ জল, আবহমান  কাল ধরে যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের রাজপ্রাসাদের অন্দরমহলে রূপচর্চার এক অপরিহার্য  উপকরণ হিসেবে যা ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।  

১. সবচেয়ে সহজ উপায়ে গোলাপ জলে তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিটে শুকিয়ে গিয়ে চোখের কোলের কালিও দূর করবে, ত্বক ময়শ্চারাইজও করবে।
২. একটা শশা খোসা ছাড়িয়ে কুরিয়ে নিয়ে ১ চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। অথবা গোলাপ জলের মধ্যে দু’স্লাইস শশা ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এই মিশ্রণ ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন। 
৩. আলুর খোসা ছাড়িয়ে ডুমো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে ১ চামচ গোলাপ জল মেশান। এই মিশ্রণে তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. এক কাপ কড়া গ্রিন টি-র সঙ্গে ১ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে তুলোর বল ভিজিয়ে চোখের উপর চাপা দিয়ে শুয়ে থাকুন ১৫ মিনিট। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাকি মিশ্রণ ফ্রিজে রাখুন।
৫. গোলাপ জলে দুটো টি ব্যাগ ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। জল থেকে তুলে ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে শুয়ে থাকুন। ডার্ক সার্কল দূর করার পাশাপাশি টোনার হিসেবেও কাজ করবে টি ব্যাগ।  
৬. ১ চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে আধ চা চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। তুলোর বল ভিজিয়ে দু’চোখের উপর চাপা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Tuesday, July 24, 2018

পাইলসের রোগের কার্যকর চিকিৎসা

অনেকে আমাদের কাছে পাইলস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমরা জানাবো কিভাবে সফলভাবে পাইলস রোগের চিকিৎসা আপনি করতে পারবেন। অনেকে পাইলস রোগ সম্পর্কে না জানার কারণে অনেক ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এজন্য আজকের health bangla এর পক্ষ থেকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি আপনার পাইলস রোগ সারাতে পারেন।
বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভিতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা। যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। এর নাম হেমোরয়েড Hemorrhoids বা পাইলস Piles।
যখন পায়ুপথের এসব শিরার সংক্রমণ এবং প্রদাহ হয়, চাপ পড়ে তখন হেমোরয়েড বা পাইলসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যাকে সাধারণ কথায় অর্শরোগ বলা হয়।
হেমোরয়েড বা অর্শরোগের অবস্থান সাধারণত দুই ধরনের যথাঃ
১. পায়ুপথের বহিঃ অর্শরোগ
২. পায়ুপথের অন্ত বা ভেতরের অর্শরোগ
৩. আবার কখনো দুই অবস্থা একসাথেও থাকেতে পারে।
পায়ুপথের ভেতরের অর্শরোগ বা পাইলস ফুলে মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসাকে ৪টি পর্যায় ভাগ করা হয়।
১. প্রথম পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না)
২. দ্বিতীয় পর্যায় (পায়খানার পর পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং তারপর আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়)
৩. তৃতীয় পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং নিজে ঠিক করতে হয়)
৪. চতুর্থ পযার্য় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে বা প্রলেপস হয়ে এবং তা আর নিজে ঠিক করা যায় না)
পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা, বহু পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা। গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণে রোগের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপুরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোন ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারনে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোগুলোতে চাপ ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।
অর্শরোগে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচেছ- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের অর্শরোগে সাধারণত তেমন কোন ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না, অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃ অর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সাথে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করা টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।

Sunday, July 22, 2018

জেনে নিন ওজন "বৃদ্ধি" করার উপায়

একদম রোগা আপনি? তাহলে জেনে নিন ওজন "বৃদ্ধি" করার ৬টি উপায়:-
আমরা সবাই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু কখনও খেয়ালও থাকে না যে এই পৃথিবীতে এমনও কিছু মানুষ আছে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। অনেকেই আছেন যাদের একটুখানি খেলেও যেন ওজন বাড়ে। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা শতগুণ খেলেও তাদের ওজনের খুব একটা হেরফের হয় না, রোগা-পটকাই থেকে যান। আন্ডার-ওয়েট শরীর হলে অবশ্য চেষ্টা ভালো লাগে না, চেহারা ভেঙে যায়। মেয়েদের শরীর যেমন এতে ঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না, তেমনই ছেলেদের দেখতেও ভীষণ বাজে লাগে।
এমতাবস্থায় ওজন বাড়ানোর জন্য বেশি কিছু নয় শুধু নিয়ম করে কিছু খাওয়া প্রয়োজন যেন খাবারটি আপনার শরীরে ঠিকমত লাগে। আসুন জেনে নিই এমন ৬ টি উপায়।
১. স্বাস্থ্যকর খাবার খান :
আপনি হয়ত প্রচুর পরিমাণে খাচ্ছেন তারপরও আপনার স্বাস্থ্য ঠিকমত বাড়ছে না। তার কারণ হল আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু ঠিক নিয়ম করে সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন না। খালি পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে না। খেটে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস গ্রহণ করুন। রোজ খান ডিম, পনির ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত-রুটি-আলু। ওজন বাড়াতে চাইলে বসা ভাত খেলেই উপকার পাবেন। কেননা এটা থাকে প্রচুর ক্যালোরি। মিষ্টি খান রোজ।
২. বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন :
একটু পর পর তরল জাতীয় খাবারে ক্ষুধা দ্রুত তৈরি করে। এজন্য আপনি ক্ষুধা তৈরি করার জন্য একটু পর পর তরল জাতীয় যেকোনো খাবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না।
৩. ঘন ঘন খান :
আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে দিনে ৫ থেকে ৭ বার পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। অামরা সচরাচর ৩ বার খেয়ে থাকি। আপনি দিনে ৬ বার খান কিন্তু পরিমাণটি নির্দিষ্ট করে। এতে করে আপনার খেতে কোনো সমস্যা হবে না। কলা, আম ইত্যাদি ফল বেশি পরিমাণে খাবেন। পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারও গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনি যত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাবেন আপনার দেহ থেকে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে প্রোটিন বেরিয়ে যাবে। তাই ভাজা বাদ দিয়ে বাদাম, পরিমিত মিষ্টি, ঘরে তৈরি নানান খাবার খান।
৪. সঠিক নিয়মে খান :
আপনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু কোনো নিয়ম মেনে খাচ্ছেন না এতে করে আপনার কোনো কাজই হবে না। আপনার ওজন কোনোভাবেই বাড়বে না। আপনি যদি নিয়ম করে খাবার তালিকা তৈরি করে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বাড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দিনের একটি বড় তালিকা তৈরি করুন ও সেটি পালন করুন ঘড়ি ধরে। মোটামুটিভাবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফলাফল পাবেন। ওজন বাড়ে সহায়ক খাবার গুলো রোজ খাবেন ও পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
৫. শারীরিক ব্যায়াম :
অবাক হচ্ছেন? ভাবছনে আপনি রোগা মানুষ আপনার আবার ব্যায়াম কি? তাহলে জেনে রাখুন, কিছু বিশেষ ব্যায়াম শরীরের পেশী তৈরি করে ও ওজন বাড়ায়। তাছাড়া ক্ষুধার উদ্রেকও করে। জিমে যাওয়া শুরু করুন নিয়মিত, ট্রেইনারের কথা মেনে চলুন। চমৎকার শরীর তৈরি হবে।আবার আপনি যদি শুধু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েই যান আর কোনো ধরনের ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার শরীরের কিছু অংশে অতিরিক্ত মেদ দেখা দেবে যেমন তলপেটসহ অন্যান্য অংশে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াতে খুব একটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে না। এজন্য যতটা সম্ভব শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে করে দেহের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করে একটা ভালো ওজন পেতে পারেন।
৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন :
ধূমপান একজন মানুষকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এজন্য দেখা গেল যে স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য আপনি যতটা প্রয়োজন নিয়ম করে খাবার গ্রহণ করলেন কিন্তু পাশাপাশি ধূমপান চালিয়ে গেলেন। এতে করে আপনার কোনো ধরনের ইতিবাচক ফলাফল আসবে না। এর জন্য আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন আর ওজন বাড়াতে চান তাহলে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন।

Saturday, July 21, 2018

গরমে শসা খাওয়ার উপকারিতা


বাইরে চাঁদিফাটা রোদ, নাজেহাল করে দেওয়া গরম। ঘরের মধ্যেও গরমে টেকা যাচ্ছে না।

বারবার গোসল করেও কিছুতেই গরম কমছে না। রোদে শরীরের খোলা অংশ পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। আর না বের হলেও ডিহাইড্রেশন এবং আরও অন্যান্য উপসর্গ তো লেগে আছেই।
প্রতিদিন খাবারের সাথে শসা স্যালাড নিশ্চয়ই খাচ্ছেন? কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকা শসাই হয়ে উঠতে পারে রোদ গরমের অসুখের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া একমাত্র ম্যাজিক খাবার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শসায় রয়েছে ৯৫ শতাংশ পানি। যা আমাদের শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।



. ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী শসা। প্রত্যেকদিন ত্বকে শসার রস লাগালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে।

আপনার ত্বক যদি রোদে পুড়ে কালো হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে শসার রসের সাথে দই এবং লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ রোজ ব্যবহার করলে সানবার্ন মুহূর্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে।

শসার বীজও মোটেই ফেলে দেওয়ার নয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- এবং পটাশিয়াম। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

Friday, July 20, 2018

চুলকানি দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

গরম যখন বাড়ছে তখন বেশ কিছু ত্বকের সমস্যা দেখা  দেয়। এই সময় ঘামের প্রকোপে আমাদের শরীরে বেশ কিছু ফাঙ্গাস এসে বাসা বাঁধে। যাদের কারণে চুলকানির মতো কষ্টকর ত্বকের রোগ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রোগ মূলত কিছু ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এমন রোগ সাধারণত শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্কাল্পে বেশি হতে দেখা যায়। তবে মনে রাখা উচিত এই রোগ টা সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ।
এক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন উপকারে লাগে, সেগুলি হল-

১। অ্যালো ভেরাঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। অ্যালোভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে ক্ষত স্থানে সরাসরি লাগাতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই চুলকানির এর মত রোগ দূর হবে।
২। লেবুঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধি লেবুতে আছে ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করে থাকে। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেস্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যে চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
৩। নারকেল তেলঃ নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিন। এছাড়াও কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসলও করে নিতে পারেন।
৪। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারঃ আপেল সিডার ভিনিগারটিতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ রয়েছে, যা এমন ধরনের সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজে আসে। একটা ছোট পাত্রে অল্প করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন প্রথমে। তারপর তাতে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলেই দূর হবে চুলকানির মত মারাত্মক রোগ।
৫। তুলসী পাতাঃ কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতা গুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি টান্ডা করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।