Tuesday, July 24, 2018

পাইলসের রোগের কার্যকর চিকিৎসা

অনেকে আমাদের কাছে পাইলস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমরা জানাবো কিভাবে সফলভাবে পাইলস রোগের চিকিৎসা আপনি করতে পারবেন। অনেকে পাইলস রোগ সম্পর্কে না জানার কারণে অনেক ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এজন্য আজকের health bangla এর পক্ষ থেকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি আপনার পাইলস রোগ সারাতে পারেন।
বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভিতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা। যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। এর নাম হেমোরয়েড Hemorrhoids বা পাইলস Piles।
যখন পায়ুপথের এসব শিরার সংক্রমণ এবং প্রদাহ হয়, চাপ পড়ে তখন হেমোরয়েড বা পাইলসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যাকে সাধারণ কথায় অর্শরোগ বলা হয়।
হেমোরয়েড বা অর্শরোগের অবস্থান সাধারণত দুই ধরনের যথাঃ
১. পায়ুপথের বহিঃ অর্শরোগ
২. পায়ুপথের অন্ত বা ভেতরের অর্শরোগ
৩. আবার কখনো দুই অবস্থা একসাথেও থাকেতে পারে।
পায়ুপথের ভেতরের অর্শরোগ বা পাইলস ফুলে মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসাকে ৪টি পর্যায় ভাগ করা হয়।
১. প্রথম পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না)
২. দ্বিতীয় পর্যায় (পায়খানার পর পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং তারপর আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়)
৩. তৃতীয় পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং নিজে ঠিক করতে হয়)
৪. চতুর্থ পযার্য় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে বা প্রলেপস হয়ে এবং তা আর নিজে ঠিক করা যায় না)
পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা, বহু পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা। গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণে রোগের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপুরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোন ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারনে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোগুলোতে চাপ ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।
অর্শরোগে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচেছ- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের অর্শরোগে সাধারণত তেমন কোন ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না, অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃ অর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সাথে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করা টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।

Sunday, July 22, 2018

জেনে নিন ওজন "বৃদ্ধি" করার উপায়

একদম রোগা আপনি? তাহলে জেনে নিন ওজন "বৃদ্ধি" করার ৬টি উপায়:-
আমরা সবাই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু কখনও খেয়ালও থাকে না যে এই পৃথিবীতে এমনও কিছু মানুষ আছে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। অনেকেই আছেন যাদের একটুখানি খেলেও যেন ওজন বাড়ে। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা শতগুণ খেলেও তাদের ওজনের খুব একটা হেরফের হয় না, রোগা-পটকাই থেকে যান। আন্ডার-ওয়েট শরীর হলে অবশ্য চেষ্টা ভালো লাগে না, চেহারা ভেঙে যায়। মেয়েদের শরীর যেমন এতে ঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না, তেমনই ছেলেদের দেখতেও ভীষণ বাজে লাগে।
এমতাবস্থায় ওজন বাড়ানোর জন্য বেশি কিছু নয় শুধু নিয়ম করে কিছু খাওয়া প্রয়োজন যেন খাবারটি আপনার শরীরে ঠিকমত লাগে। আসুন জেনে নিই এমন ৬ টি উপায়।
১. স্বাস্থ্যকর খাবার খান :
আপনি হয়ত প্রচুর পরিমাণে খাচ্ছেন তারপরও আপনার স্বাস্থ্য ঠিকমত বাড়ছে না। তার কারণ হল আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু ঠিক নিয়ম করে সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন না। খালি পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে না। খেটে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস গ্রহণ করুন। রোজ খান ডিম, পনির ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত-রুটি-আলু। ওজন বাড়াতে চাইলে বসা ভাত খেলেই উপকার পাবেন। কেননা এটা থাকে প্রচুর ক্যালোরি। মিষ্টি খান রোজ।
২. বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন :
একটু পর পর তরল জাতীয় খাবারে ক্ষুধা দ্রুত তৈরি করে। এজন্য আপনি ক্ষুধা তৈরি করার জন্য একটু পর পর তরল জাতীয় যেকোনো খাবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না।
৩. ঘন ঘন খান :
আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে দিনে ৫ থেকে ৭ বার পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। অামরা সচরাচর ৩ বার খেয়ে থাকি। আপনি দিনে ৬ বার খান কিন্তু পরিমাণটি নির্দিষ্ট করে। এতে করে আপনার খেতে কোনো সমস্যা হবে না। কলা, আম ইত্যাদি ফল বেশি পরিমাণে খাবেন। পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারও গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনি যত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাবেন আপনার দেহ থেকে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে প্রোটিন বেরিয়ে যাবে। তাই ভাজা বাদ দিয়ে বাদাম, পরিমিত মিষ্টি, ঘরে তৈরি নানান খাবার খান।
৪. সঠিক নিয়মে খান :
আপনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু কোনো নিয়ম মেনে খাচ্ছেন না এতে করে আপনার কোনো কাজই হবে না। আপনার ওজন কোনোভাবেই বাড়বে না। আপনি যদি নিয়ম করে খাবার তালিকা তৈরি করে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বাড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দিনের একটি বড় তালিকা তৈরি করুন ও সেটি পালন করুন ঘড়ি ধরে। মোটামুটিভাবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফলাফল পাবেন। ওজন বাড়ে সহায়ক খাবার গুলো রোজ খাবেন ও পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
৫. শারীরিক ব্যায়াম :
অবাক হচ্ছেন? ভাবছনে আপনি রোগা মানুষ আপনার আবার ব্যায়াম কি? তাহলে জেনে রাখুন, কিছু বিশেষ ব্যায়াম শরীরের পেশী তৈরি করে ও ওজন বাড়ায়। তাছাড়া ক্ষুধার উদ্রেকও করে। জিমে যাওয়া শুরু করুন নিয়মিত, ট্রেইনারের কথা মেনে চলুন। চমৎকার শরীর তৈরি হবে।আবার আপনি যদি শুধু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েই যান আর কোনো ধরনের ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার শরীরের কিছু অংশে অতিরিক্ত মেদ দেখা দেবে যেমন তলপেটসহ অন্যান্য অংশে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াতে খুব একটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে না। এজন্য যতটা সম্ভব শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে করে দেহের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করে একটা ভালো ওজন পেতে পারেন।
৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন :
ধূমপান একজন মানুষকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এজন্য দেখা গেল যে স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য আপনি যতটা প্রয়োজন নিয়ম করে খাবার গ্রহণ করলেন কিন্তু পাশাপাশি ধূমপান চালিয়ে গেলেন। এতে করে আপনার কোনো ধরনের ইতিবাচক ফলাফল আসবে না। এর জন্য আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন আর ওজন বাড়াতে চান তাহলে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন।

Saturday, July 21, 2018

গরমে শসা খাওয়ার উপকারিতা


বাইরে চাঁদিফাটা রোদ, নাজেহাল করে দেওয়া গরম। ঘরের মধ্যেও গরমে টেকা যাচ্ছে না।

বারবার গোসল করেও কিছুতেই গরম কমছে না। রোদে শরীরের খোলা অংশ পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। আর না বের হলেও ডিহাইড্রেশন এবং আরও অন্যান্য উপসর্গ তো লেগে আছেই।
প্রতিদিন খাবারের সাথে শসা স্যালাড নিশ্চয়ই খাচ্ছেন? কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকা শসাই হয়ে উঠতে পারে রোদ গরমের অসুখের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া একমাত্র ম্যাজিক খাবার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শসায় রয়েছে ৯৫ শতাংশ পানি। যা আমাদের শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।



. ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী শসা। প্রত্যেকদিন ত্বকে শসার রস লাগালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে।

আপনার ত্বক যদি রোদে পুড়ে কালো হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে শসার রসের সাথে দই এবং লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ রোজ ব্যবহার করলে সানবার্ন মুহূর্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে।

শসার বীজও মোটেই ফেলে দেওয়ার নয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- এবং পটাশিয়াম। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

Friday, July 20, 2018

চুলকানি দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

গরম যখন বাড়ছে তখন বেশ কিছু ত্বকের সমস্যা দেখা  দেয়। এই সময় ঘামের প্রকোপে আমাদের শরীরে বেশ কিছু ফাঙ্গাস এসে বাসা বাঁধে। যাদের কারণে চুলকানির মতো কষ্টকর ত্বকের রোগ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রোগ মূলত কিছু ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এমন রোগ সাধারণত শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্কাল্পে বেশি হতে দেখা যায়। তবে মনে রাখা উচিত এই রোগ টা সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ।
এক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন উপকারে লাগে, সেগুলি হল-

১। অ্যালো ভেরাঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। অ্যালোভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে ক্ষত স্থানে সরাসরি লাগাতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই চুলকানির এর মত রোগ দূর হবে।
২। লেবুঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধি লেবুতে আছে ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করে থাকে। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেস্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যে চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
৩। নারকেল তেলঃ নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিন। এছাড়াও কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসলও করে নিতে পারেন।
৪। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারঃ আপেল সিডার ভিনিগারটিতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ রয়েছে, যা এমন ধরনের সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজে আসে। একটা ছোট পাত্রে অল্প করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন প্রথমে। তারপর তাতে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলেই দূর হবে চুলকানির মত মারাত্মক রোগ।
৫। তুলসী পাতাঃ কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতা গুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি টান্ডা করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।

Tuesday, July 17, 2018

Good For Helth


Good For Helth

 

যে খাবারগুলো সুস্বাদু, ক্ষুধা কমায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো!

খাবার নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনার যেন শেষ নেই। কিছু খাবার খেতে ভালো, কিন্তু তার পুষ্টিগুণ কম। আবার কিছু খাবার মানুষের ওজনকে দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আনন্দের বিষয় হচ্ছে এমন কিছু খাবার আছে যা খেতে সুস্বাদু, ক্ষুধাকে কমিয়ে দেয় এবং স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। আসুন তেমন কিছু খাবারের সাথে পরিচিত হই।
বাদাম:
বাদামে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ফ্যাট নেই এবং এটা মানুষের কোলেস্টেরলের কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্ষুধা কমানোর ফাইবারও থাকে, এর কারণে বাদাম পাকস্থলিতে অনেক সময় থাকে। যেমন ১/৪ কাপ বাদামে ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে।
আপেল:
আপেল সকাল এবং বিকালের জন্য আদর্শ নাস্তা। এই ধরনের ফল ফাইবার এবং পানির বড় উৎস যা একজন মানুষের পেটকে অনেকসময় ভরিয়ে রাখে। এছাড়া আপেলে আছে pectin যা রক্তের হঠাৎ করে বেড়ে ওঠা সুগারকে প্রতিরোধ করে।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতার ঘ্রাণই শুধু ভালো নয়, এটি ক্ষুধাকেও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার চা বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
ইয়োগার্ট:
প্রোটিনের একটি বড় উৎস হল ইয়োগার্ট। ইয়োগার্ট শরীরের ফ্যাটকেও কমাতে সাহায্য করে।
কফি:
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন আমাদের ক্ষুধাকে কিছুক্ষণের জন্য কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ফলাফল বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হয় না। তাই মাঝে মাঝে কফি খাওয়া দোষের কিছু নয়। তবে রাতে কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
এ্যাভকাডো:
এ্যাভকাডোতে আছে monounsaturated ফ্যাট যা যে কোন মানুষকে পূর্ন হতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় এক স্লাইস টোস্টের সাথে অর্ধেক এ্যাভকাডো যুক্ত করুন। এটি আপনার ক্ষুধাকে কমিয়ে দেবে এবং দুপুরের খাবার পর্যন্ত আপনাকে সতেজ রাখবে
শাকসবজি:
শাকসবজিতে আছে প্রচুর ফাইবার যা পাকস্থলিকে অনেকক্ষণ ভরে রাখতে সাহায্য করে। তাই বিভিন্ন সালাদে নিয়মিত কিছু শাকসবজি ব্যবহার করুন।
লেমন জুস:
লেমন জুসে আছে pectin যা একজন মানুষের হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই দিনে একবার অন্তত লেমন জুস পান করুন।
এই লিখাটি পড়ে আপনি যদি একটু হলেও উপকৃত হন, তবে লিখাটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের উপকৃত হবার সুযোগ করে দিন !