Tuesday, July 7, 2020

ছেলেরা ব্রনর হাত থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে ?
ব্রন শুধু টিনএজার কিংবা মেয়েদেরই বড় একটা সমস্যা নয়। ব্রনর সমস্যায় ভুগতে হয় ছেলেদেরকেও। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন বয়ঃসন্ধিতে ব্রনর সমস্যা দেখা দেয়, ঠিক একইভাবে ছেলেদের ক্ষেত্রেও বয়ঃসন্ধিতে এমনকি বয়ঃসন্ধির পরেও ব্রনর সমস্যা দেখা দেয়। চর্ম বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, ব্রন নখ দিয়ে খুঁটলে আরও বেড়ে যায়। ব্রন হওয়ার কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন যে, বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের হরমোনের পরিবর্তন হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনের জন্যই ব্রন হয়। আবার অনেক সময় শুধু হরমোনের কারণেই নয়, ধুলো, ধোঁয়া, পরিবেশ দূষণের কারণেও আমাদের ত্বকের প্রচুর ক্ষতি হয়।


 ব্রন শুধু টিনএজার কিংবা মেয়েদেরই বড় একটা সমস্যা নয়। ব্রনর সমস্যায় ভুগতে হয় ছেলেদেরকেও। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন বয়ঃসন্ধিতে ব্রনর সমস্যা দেখা দেয়, ঠিক একইভাবে ছেলেদের ক্ষেত্রেও বয়ঃসন্ধিতে এমনকি বয়ঃসন্ধির পরেও ব্রনর সমস্যা দেখা দেয়। চর্ম বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, ব্রন নখ দিয়ে খুঁটলে আরও বেড়ে যায়। ব্রন হওয়ার কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন যে, বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের হরমোনের পরিবর্তন হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনের জন্যই ব্রন হয়। আবার অনেক সময় শুধু হরমোনের কারণেই নয়, ধুলো, ধোঁয়া, পরিবেশ দূষণের কারণেও আমাদের ত্বকের প্রচুর ক্ষতি হয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রনর অনেকরকম চিকিত্‌সা এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট রয়েছে ব্রনর থেকে মুক্তি পাওয়ার। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে বাজারে এখনও তেমন কোনও উপকারী প্রোডাক্ট আসেনি। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্রনর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

১) সারাদিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুতে হবে। এর ফলে ত্বকের উপরিভাগে লেগে থাকা ধুলোময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। যে সমস্ত ফেসওয়াশ শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য, সেই ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ফেসওয়াশ ব্যবহারের সময় কয়েকমিনিট সময় নিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে ত্বকের মৃত কোষগুলিকে তুলে ফেলতে হবে।

২) সারাদিন প্রচুর পরিমানে জল খেতে হবে। হজমের গোলমালের জন্যেও অনেকসময় ব্রনর সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমানে তেলমশলা দেওয়া খাবার নয়, সেদ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে আপনার লিভারও ভালো থাকবে। আর হজমের সমস্যাও অনেক কমে যাবে।

৩) ব্রন হলে একেবারেই তা নখ দিয়ে খোঁটা চলবে না। বা সারাক্ষণ তাতে হাত দিলেও ব্রন বেড়ে যাওায়র সম্ভাবনা থাকে। ব্রন খুঁটলে তার দাগ চিরকালের জন্য আপনার ত্বকে থেকে যেতে পারে।
৪) আপনি যদি রোজ দাড়ি কামান, তাহলে অবশ্যই উন্নতমানের ইলেক্ট্রিক রেজার ব্যবহার করবেন।


Wednesday, December 12, 2018

শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা, ওষুধ না খেয়ে সারবে কীভাবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে অনেক সময় ভিটামিন ডি কমে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ফুলে যায়। বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায় 
শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা,

ঘাড় ঘোরাতে পারছেন না? কোমরে টান? গাঁটে গাঁটে ব্যথা? শীতে ঘাড়, কোমর, পা, সবই অকেজো? কী করবেন? কোন ওষুধেই বা সারবে রোগ? শীত পড়তেই কোমর ও ঘাড়ের দফারফা। ঘাড় থেকে ব্যথা আস্তে আস্তে কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে থাকে। অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব। দুর্বল হতে থাকে বাহু, হাত ও আঙুল। ঘাড়ের স্টিফনেস বাড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে অনেক সময় ভিটামিন ডি কমে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ফুলে যায়। বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। নিঃশ্বাসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ অক্সিজেন শরীরে যায়। সহজেই ক্লান্তি আসে। শুধু ব্যথাই নয়, মাংসপেশির স্টিফনেসের সমস্যাও হয়।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্ট শক্ত হয়ে থাকে। যাঁরা ভারী কাজ করেন বা সারাদিন বসে কাজ করেন এবং যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি। শীতে হাত ও পায়ের দিকে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ফলে, জয়েন্টে ব্যথা, ধীরে ধীরে জয়েন্ট ও মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন জয়েন্টের চারপাশের ত্বক খুব বেশি ঠান্ডা হলে স্নায়ুপ্রান্তগুলোর সংবেদনশীলতা বেশি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা মলম লাগানো ঠিক হবে না। পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে। সর্দি-কাশি যেন না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Thursday, November 29, 2018

কোনটা পারফেক্ট ডিনারে,ভাত না রুটি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ধের পর কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে হাই সুগার, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে তো নয়ই। ঘুমনোর আগে কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে গ্রোথ হরমোন এবং টেস্টোস্টেরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে
কেউ বলবেন ভাত। কেউ বলবেন রুটি। এ দ্বন্দ্ব ছিল, আছে, থাকবেও। ভেতো বলে বাঙালির একটা বদনাম আছে। তাই ডিনারেও তাঁদের পছন্দ গরম গরম ভাত। কিন্তু যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা ডিনারের মেনু বদলে নিচ্ছেন। ভাতের বদলে রুটিতেই ভরসা।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ভাত-রুটি কোনওটাই নয়। খেলেও খুব কম। কারণ, দুশমন কার্বোহাইড্রেট।
ভাত না রুটি?

রাতে বেশি ভাত কেন নয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ধের পর কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে হাই সুগার, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে তো নয়ই। ঘুমনোর আগে কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে গ্রোথ হরমোন এবং টেস্টোস্টেরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাতে খুব বেশি ভাত খেলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটির মতো ক্রনিক রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। ভাতে ফাইবারও কম। ফলে, হজমক্ষমতাও কম।

রাতে বেশি রুটিও নয় কেন?
আটা বা ময়দা, যে কোনও ধরনের রুটিতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে। এক টুকরো রটিতে ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক পুষ্টির মাত্র ৪৫ থেকে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে নেওয়া উচিত।

Tuesday, November 27, 2018

পেটে ব্যথার কারণ অ্যাপেনডিসাইটিস কী করে বুঝবেন?

বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গ থাকে। যাকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। আমাদের দেহে এই অঙ্গের কোনও কাজ নেই। তবে বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এই অঙ্গটি প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। সময় মতো অস্ত্রোপচার করা না গেলে, বা সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণে মৃত্যুও হতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়।
অ্যাপেনডিসাইটিস

অ্যাপেনডিসাইটিস কেন এবং কী ভাবে হয়?
কোনও কারণে অ্যাপেন্ডিক্সে খাদ্য বা ময়লা ঢুকে গেলে সেখানে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এবং সেখানে নানা জীবাণুর আক্রমণে সংক্রমণ ছড়িতে পড়ে। ফলে অ্যাপেনডিক্সে ব্যথা হতে শুরু করে।

উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:
১) পেটে ব্যথা হয়। সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকের নিচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
২) বমি বমি ভাব,
৩) বমি হওয়া,
৪) ক্ষুধামন্দা,
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া,
৬) জ্বর থাকতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় না।
৭) অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে সাংঘাতিক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।

Sunday, November 25, 2018

রোজ মাত্র একটা করে কলা খেতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান

কলার পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রোজ একটা করে কলা খেতে পারলে পেতে পারেন নিরোগ শরীর। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। মাত্র একটা করে কলা। তাতেই শরীরের অনেক সমস্যা সেরে উঠতে পারে। কলার উপকারী দিকগুলো নিয়ে আর আগেও বহু চর্চা হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগা রোগীদের কাছে কলা মহাষৌধির মতো কাজ করে। এছাড়া হজমশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কলার জুড়ি মেলা ভার। কলার কিন্তু আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-
আরও পড়ুন-  আপনার কি হাত-পায়ের তালু ঘামায়? এটা কি অসুখ? জেনে নিন...
মানসিক স্বাস্থ্য: মস্তিষ্কে সেরোটোনিন-এর ঘাটতি হলে সাধারণত হতাশার জন্ম হয়। কলা এই সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ কলায় থাকে ট্রিপ্টোফান। কলা উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রেও ফলদায়ক।
রোজ মাত্র একটা করে কলা
ওজন নিয়ন্ত্রণ: সকালে একটা করে কলা ভীষণ উপকারী। এতে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরি পেতে পারেন।
মস্তিষ্কের জন্য: পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ফল কলা। নিয়মিত কলা খেলে মস্তিষ্কে শক্তি সরবরাহ অব্যহত থাকে। ফলে যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়ে।
হাড় শক্ত করে কলা: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে কলা উপকারী ফল।

এবার সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, রোজ ঠিক ক'টা করে কলা খাওয়া ভাল। এক্ষেত্রে চিকিত্সকরা বলছেন, শরীরে যাবতীয় উপাদানের ঘাটতি মেটাতে একটা করে কলা রোজ যথেষ্ট। তবে কলা হালকা খাবার। সেক্ষেত্রে দুটো খেলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে রাতের দিকে কলা খেলে অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীর চর্চার আগে বা পরে কলা খেতে পারলে ভাল। এতে এনার্জি বাড়ে। তা হলে আর দেরি কেন! আজ থেকেই ডায়েট চার্টে রাখুন একটা করে কলা।

Monday, November 19, 2018

ঘুমোনোর আগের ৯টি টিপ্‌স


ঘুমোনোর আগের ৯টি টিপ্‌স

ঘুমোনোর আগে যদি নিজের জন্য একটু সময় দাও, তা হলেই দেখবে সকালে উঠে কেমন ফ্রেশ লাগছে। কী-কী করতে হবে? রইল ৯টি টিপ্‌স।
সারাদিন কলেজ, লেখাপড়া, টিউশনের চাপ সামলে রাতে ঘুমটা নিশ্চয়ই ভালই পায়? এদিকে সকালে উঠেও অনেক সময়ই মনে হয় তো যে শরীরটা ঠিক ফ্রেশ লাগছে না? জানো কী, তুমি যখন ঘুমোচ্ছ, তখনই কিন্তু তোমার শরীর নিজেকে রিপেয়ার করার সমস্ত কাজটাই করে নেয়। তাই ঘুমোনোর আগে যদি নিজের জন্য একটু সময় দাও, তা হলেই দেখবে সকালে উঠে কেমন ফ্রেশ লাগছে। আর সেই ফ্রেশ ভাবটা থেকে যাবে সারাদিনই। কী-কী করতে হবে? রইল ৯টি টিপ্‌স।

১. চোখের নীচে কালি পড়া নিয়ে অনেকেই মনে হয় খুব চিন্তায় আছ? লেখাপড়া হোক বা সিনেমা দেখা, রাত জাগাটা তো প্রায় রোজকার ব্যাপার হয়ে গিয়েছে! এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি-রিংকল সিরাম বা নাইট ক্রিম দারুণ কাজ দিতে পারে। এইগুলো চোখের নীচে মাস্কের মতো লাগিয়ে রাখো। সারা রাত এই ক্রিম বা সিরাম তোমার চোখের যত্ন নেবে এবং কালি দূর করবে।

২. পা ফাটার সমস্যাটা তোমাদের কারও-কারও এই বয়সেই শুরু হয়ে যায়। রাতে ঘুমনোর আগে পায়ের একটু যত্ন নিলে সকাল নাগাদ অবস্থার উন্নতি হবে। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়শ্চারাইজ়ার পায়ে মেখে পাতলা সুতির মোজা পড়ে ঘুমিয়ে পড়ো। সকালে দেখবে দারুণ মসৃণ পা।

৩. ঘুমোনোর সময় চুল ভেঙে যাওয়া একটা ব়ড় সমস্যা। এর সমাধান করতে পারে বালিশের কভার। এমন কভার ব্যবহার করো যাতে চুল পিছলে যায়। এতে বালিশে চুল আটকে যাবে না এবং মাথা এদিক-ওদিক করলে ভেঙেও যাবে না।

৪. ফাটা, শুকনো ঠোঁট দে‌খতে কী খারাপ লাগে বলো তো! তাই ঠোঁটকে পুষ্ট এবং সজীব রাখতে রাতে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে ঘুমাও। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে ঠোঁট দেখতে পাবে, বাইরে বেরনোর আগে তার আর বাড়তি যত্নের প্রয়োজনই পড়বে না।

৫. নখ এবং নখের আশপাশের ত্বকে হালকা নারকেল তেল মেখে নাও। ঘুমোনোর আগে এটা করলে নখ হবে ঝকঝকে এবং হেলদি।

৬. চোখের পাতা বড় করার কিছু সিরাম পাওয়া যায়। এগুলো রাতে ঘুমোনোর আগে ব্যবহার করতে পার। তা ছাড়া বাড়িতে ক্যাস্টর অয়েল থাকলে তাও লাগিয়ে নিতে পার। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ দুটো আরও আকর্ষক দেখাবে।

৭. রুক্ষ পা দুটোকে মসৃণ করার টিপস পেয়েছ। একই কাজ দুটো হাতের জন্যও করতে পারে। ব্রাউন সুগার এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করে স্ক্রাব বানিয়ে নাও। এগুলো দুই হাতে মেখে নাও। ধুয়ে নিয়ে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। সকাল দেখবে মসৃণ এবং সুন্দর দুটো হাত রাতের চেয়ে অনেক ভাল দেখাচ্ছে।

৮. রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই মুখে ক্রিম ব্যবহার করো? এটি করার আগে মুখে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল লাগিয়ে নাও। এরপর ক্রিম ব্যবহার করো। এর ফলাফল সকালেই বুঝতে পারবে।

৯. তোমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটা তা ভাল করেই জানি! পরের দিন কোথাও যাওয়ার থাকলেই ঠিক আগের রাতে মুখে হাজির হবে একটা পিম্পল! তবে ঘুমোনোর আগে মুখে যদি কোনও পিম্পল দেখে থাকো, তাকে বাগে আনতে পারবে কিন্তু এক রাতের মধ্যেই। এর উপর সামান্য দাঁত মাজার পেস্ট লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। মনে রাখবে, জেল নয় কিন্তু, পেস্ট লাগাবে।

Wednesday, September 12, 2018

স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন


আধুনিক জীবনে বড় একটি সমস্যা স্থূলতা। ডায়াবেটিসের মতো স্থূলতা বহু রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরা ওজন কমানোর দৌঁড়-ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু এ কাজটি করা দুষ্কর। তবে এমন অনেক মানুষই আছেন যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়েও কম। ওজন আসলে ভারসাম্যপূর্ণ থাকা দরকার। কমও নয়, বেশিও নয়। জানলে অবাক হবেন, ওজন বাড়ানোও কিন্তু কঠিন কাজ। যারা সুস্বাস্থ্যের জন্যে ওজন বাড়াতে চাইছেন, তারা বুঝতে পারছেন কতটা দুরূহ কাজ করে যাচ্ছেন।
আসলে পাতলা দেহের অধিকারীদের পাকস্থলী ছোট আকারের হয়। তাদের পক্ষে ক্ষুধা বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ক্ষুধা থাকলেও যথেষ্ট খাবার খেয়েও তারা স্বাস্থ্য বাড়াতে পারেন না। বরং অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমা পড়তে থাকে দেহে। এ অবস্থা আরো বেশি মারাত্মক। সাধারণত এ ফ্যাট কেবল পেটেই জমে। ভুঁড়ি বাড়ে, সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্য বাড়ে না।
এখানে জেনে নিন স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর উপায়ের কথা। এগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং গবেষণার ফল।
স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন


. ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পান নানা কারণে। আসলে বুঝতে হবে আপনার দেহের মতিগতি। কেন আপনি চিকন, সে সমস্যা আগে চিহ্নিত করতে পারলে ভালো। যে ওজন থাকা দরকার তা কেন হচ্ছে না, তাও আগেভাগে জেনে নিতে হবে। এ কাজটি করতে পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলুন। মূল সমস্যা শনাক্ত করা জরুরি।

. যারা চিকন তাদের ক্ষেত্রে ভাবা হয়, এই দেহে কোনো খাবারই কোনো কাজে লাগে না। তাই যা পাওয়া যায় তাই বেশি বেশি খেতে হবে। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির দিকে যেতে হবে। এতে করে প্রক্রিয়াটা স্বাস্থ্যকর হবে এবং তা থেকে যাবে। সাধারণ হিসেবটা হলো, প্রতিদিন ৫০০ কিলোক্যালরি খাবার খেলে সপ্তাহে ওজন আধা কেজি বাড়বে। অবশ্য তা নির্ভর করে আপনার দেহ খাবারের সঙ্গে কেমন আচরণ করলো তার ওপর।

৩. ওজন বাড়াতে কিন্তু ব্যায়ামও করতে হবে। যদি ভাবেন কেবল খাবার এ কাজটি করবে তবে ভুল করছেন। ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহের পেশিগঠন প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। নিজেও বুঝতে পারবেন দেহের কোন পেশিগুলো দুর্বল। পরে সেই পেশির ব্যায়াম করতে হবে। সুগঠিত পেশি স্বাস্থ্যকর দেহ গড়ে তোলে।

৪. ওজন তুলতে হবে। রোগা দেহ ধীরে ধীরে সুগঠিত হতে থাকবে। আপনার দেহ যে পরিমাণ ভার বাইতে সক্ষম, তার চেয়ে বেশি ওজন বহন করতে পারবে। দেহের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। আর এ কাজে ওজন তোলা সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়াম। ওজন বৃদ্ধির জন্যে আপনার স্কোয়াট, ডেডলিফট, প্রেস, পুল-আপ, রো, ডিপ, স্ন্যাচ, ক্লিন এবং জার্ক দিতে হবে।

৫. স্বাস্থ্যকের খাবার তো লাগবেই। অনেকে দোকান থেকে ফুড সাপ্লিমেন্ট কিনে থাকেন। এগুলো স্বাস্থ্য বৃদ্ধির কথা দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এর অনেকগুলোই সিনথেটিক পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে আপাতত স্বাস্থ্য বাড়বে, স্থায়ীভাবে নয়। তাই পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবারই বেছে নিতে হবে। প্রতিটা খাদ্য উপাদান পরিমাণমতো খেতে হবে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ আপনাকে সহায়তা করতে পারেন।

৬. স্বাস্থ্যকর হৃৎপিণ্ড গঠন ও ওজন বৃদ্ধির খাবার খেতে হবে। অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্যে যেকোনো খাবার বেশি বেশি খেয়ে ভুলটা করে থাকেন। এতে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন খাবার খাওয়া যাবে না যা ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যোগ করতে হবে। অর্থাৎ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শুকনো ফল ইত্যাদি খাওয়া ভালো। সবজি ও মাংস খেতে হবে পরিমাণমতো। তবে একটু বেশি প্রোটিন খেতে হবে। তাও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন।

৭. কখনোই বলা হয় না যে, খাবার বেশি খাবেন। বেশি খেলে যে ওজন বাড়বে তা নয়। বরং পরিমাণমতো খেতে বলেন সবাই। জাঙ্কফুড পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে বুঝহতে হবে কোন খাবারে কোন উপাদানটি রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ করা যাবে না। আবার সব স্বাস্থ্যকর খাবারও বেশি বেশি খাওয়া উচিত নয়। বুঝেশুনে খাবেন, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন।