অন্যান্য



সাতদিন খালি পেটে রসুন-মধু খেলে কী হয়?
কেবল খাবার হিসেবে নয়, বহুকাল আগে থেকে রসুন ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জাতিই রসুনকে বিভিন্ন অসুখ থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করে আসছে।
প্রাচীন গ্রিকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই রসুনের ব্যবহার করত। এ ছাড়া অলিম্পিক গেমের ক্রীড়াবিদরা প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য রসুন খেতেন। প্রাচীন চীন ও জাপানে রসুনকে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ভারতে হৃদরোগ ও গাঁটে ব্যথা প্রতিরোধে দীর্ঘকাল ধরেই রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে।

আবার বিভিন্ন দেশে রোগ নিরাময়কারী উপাদান হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ শতকের মাঝামাঝি এসে একে অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়। মধুকে সংক্রমণ প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে ধরা হয়। এই দুটো চমৎকার জিনিস যখন একসঙ্গে হয়, তখন এর গুণ বেড়ে যায় আরো বেশি।
রসুন ও মধুর মিশ্রণ বিভিন্ন ধরনের  সংক্রমণ, ঠান্ডা, জ্বর, কফ ইত্যাদি সারাতে বেশ ভালো কাজ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কেবল সাতদিন রসুন ও মধুর মিশ্রণ খেলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে অনেকটাই রক্ষা করা যায়।
জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট রাইস আর্থ জানিয়েছে মধু ও রসুনের এই মিশ্রণটি তৈরির প্রণালি।
উপাদান
একটি মাঝারি আকৃতির বয়াম, মধু, তিন থেকে চারটি রসুন। (খোসা ছাড়িয়ে কোয়াগুলো বের করুন।)
প্রণালি
প্রথমে বয়ামের মধ্যে রসুনের কোয়াগুলো নিন। এরপর এর মধ্যে মধু ঢালুন। বয়ামের মুখ বন্ধ করে মিশ্রণটি ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করুন।
প্রতিদিন খালি পেটে মিশ্রণটি আধা চা চামচ করে খান। ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দিনে ছয়বার আধা চা চামচ করে এটি খেতে পারেন। এটি সংক্রমণ দূর করতে কাজ করবে।


সুস্থ থাকতে আঁশযুক্ত খাবার খান
আঁশযুক্ত খাবার এমন একটি খাদ্য উপাদান যা দেহের নানা কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমানে আঁশযুক্ত খাবার খেলে তুলনামুলকভাবে বেশিদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা যায়। আর খাবারে এই উপাদানের ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের বিপত্তি ঘটে। ভুট্টা, শিম, বাঁধাকপি, জাম, ওট, ব্রকলি,আপেল, কলা, কমলা, বাদাম ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ পাওয়া যায়।
আঁশযুক্ত খাবার খেলে অল্পতেই পেট ভরে যায়। একারণে ঘন ঘন খাবার প্রবণতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গবেষকরা বলছেন, যারা প্রতিদিন ২৬ গ্রামের বেশি আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় কম।
আরেক গবেষণায় এটা প্রমানিত হয়েছে, যারা প্রতিদিন ৭ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কিছুটা হলেও কমে যায়।
প্রতিদিন ১০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের সম্ভাবনা ১০ ভাগ কমিয়ে দেয় এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি শতকরা ৫ ভাগ কমাতে সাহায্য করে।
গবেষণায় এটাও দেখা গেছে, যারা আঁশসমৃদ্ধ শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তারা অন্যদের তুলনায় দীর্ঘায়ু হন। যেকোন ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে আঁশযুক্ত খাবার দারুন কার্যকরী। এছাড়া শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বের করতে প্রাকৃতিভাবেই কাজ করে এই জাতীয় খাবার। কিছু কিছু আঁশযুক্ত খাবার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় মজবুত থাকে।






ফিট থাকার ছয়টি জাপানি কৌশল
স্লিম ও ফিট শরীর নিয়ে জাপানিরা সারা বিশ্বের কাছে ঈর্ষার কারণ। এছাড়া জাপানিরা সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচে। শতায়ু মানুষের সংখ্যা জাপানে বেশি। আচ্ছা তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবনের রহস্য কি? সত্য বলতে কি এটা তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনপ্রণালীর কারণেই হচ্ছে। জাপানিরা প্রাচীনকাল থেকেই কিছু স্বাস্থ্যকর রীতি মেনে চলে যার কারণে তাদের এই সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন। তাদের ফিট ও স্লিম থাকার ছয়টি কৌশল নিয়ে এই লেখা :
১. সুমো রেসলারের মতো খেয়ো না
সুমো রেসলাররা দিনে দুইবার বড় আহার করে এবং দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। বিকাল বেলাতে কিছু শারীরিক কসরৎ করে। যদি সুমো রেসলারদের মতো বিশাল বপু ও বিশাল দেহ পেতে না চান তাহলে অতিরিক্ত আহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. অল্প আঁচে রান্না করুন
রান্না করার সময় আমরা বড় ভুলটি করি সেটি হলো দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করা। শাকসবজিসহ বিভিন্ন রান্নার ক্ষেত্রে অল্প আঁচে রান্না পুষ্টি অক্ষুণ্ন রাখতে খুবই কার্যকরী। দীর্ঘ সময় রান্না খাবারের খাদ্য উপাদান ও গুণাগুণে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এজন্য অল্প আঁচে রান্না খুবই ভালো অভ্যাস।
৩. জীবন প্রদায়ী উষ্ণতা
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের উষ্ণতা বা তাপ দরকার। আমাদের খাদ্য সেই শক্তি সরবরাহ করে থাকে। বিভিন্ন মৌসুমী ফল ও শাকসবজি সেসব মৌসুমের প্রয়োজন মেটায়। গ্রীষ্মের খাবারগুলো গ্রীষ্মকালে আমাদের শীতল রাখতে সাহায্য করে তেমনি শীতের খাবারগুলো আমাদেরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
৪. দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান
খাবার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো মানে খাবার কমিয়ে দেওয়া বা ডায়েট করা নয়। খাবার উপভোগ করতে হবে। জাপানিজরা উপভোগ করে খায়। এবং ডায়েট এ যেতে হয় না। তারা বিভিন্ন প্রকারের খাবার গ্রহণ করে এবং শরীরচর্চা করে থাকে। তারা এই জীবনপ্রণালীতে কোন ছাড় দেয় না। এ কারণেই তারা দীর্ঘজীবি হয় এবং স্লিম থাকে।
৫. খাওয়ার সময় কোন পানি নয়
খাওয়ার সময় পানি পান করা আপনার হজমের জন্য ক্ষতির কারণ। এছাড়া খাওয়ার সময় পানি খেলে এটা আমাদের শরীর শীতল করে দেয় এবং খাবার থেকে প্রয়োজনীয় উষ্ণতা নিতে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়া এটা পাকস্থলীর অনেক এসিডকে দুর্বল করে দেয় যা হজমে সহায়তা করে।
৬. উষ্ণ পানিতে লম্বা গোসল
উষ্ণ পানির অনেক সুবিধা। নিয়মিত উষ্ণ পানিতে গোসল আপনাকে শিথিল হতে সহায়তা করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। জাপানিজদের সুন্দর চামড়া ও ভালো হজম শক্তির জন্য এই উষ্ণ গোসল অনেক সহায়তা করে।










No comments:

Post a Comment