Friday, July 20, 2018

চুলকানি দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

গরম যখন বাড়ছে তখন বেশ কিছু ত্বকের সমস্যা দেখা  দেয়। এই সময় ঘামের প্রকোপে আমাদের শরীরে বেশ কিছু ফাঙ্গাস এসে বাসা বাঁধে। যাদের কারণে চুলকানির মতো কষ্টকর ত্বকের রোগ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রোগ মূলত কিছু ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এমন রোগ সাধারণত শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্কাল্পে বেশি হতে দেখা যায়। তবে মনে রাখা উচিত এই রোগ টা সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ।
এক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন উপকারে লাগে, সেগুলি হল-

১। অ্যালো ভেরাঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। অ্যালোভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে ক্ষত স্থানে সরাসরি লাগাতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই চুলকানির এর মত রোগ দূর হবে।
২। লেবুঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধি লেবুতে আছে ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করে থাকে। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেস্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যে চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
৩। নারকেল তেলঃ নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিন। এছাড়াও কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসলও করে নিতে পারেন।
৪। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারঃ আপেল সিডার ভিনিগারটিতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ রয়েছে, যা এমন ধরনের সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজে আসে। একটা ছোট পাত্রে অল্প করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন প্রথমে। তারপর তাতে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলেই দূর হবে চুলকানির মত মারাত্মক রোগ।
৫। তুলসী পাতাঃ কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতা গুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি টান্ডা করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।

No comments:

Post a Comment